ইলিশ মাছের মাথাটি আজকে আমাকে দিও মা।
--না এই মাথা সুজন খাবে।
--সুজন তো প্রদিবারেই খায়। আজকে আমাকে একটু খাইতে দাওনা মা প্লিজজজজজজ।
--বল্লাম না এইটা সুজন খাবে। এতো কথা বলিশ কেনো হ্যা। বেশি কথা বললে ভাত দিবোনা।
--মা শুধুমাত্র আজকে খাইতে দাও। আর কখনো চাইবোনা। বিশ্বাস করো আমার মায়ের মৃত্যুর পরে আর কখনো খাইনি।
--তোর মায়ের মৃত্যুর সময় তোর মৃত্যুটা কেনো হলোনা শুনি। যদি মরতি তাহলে আমরা আজ সুখে থাকতাম।
হাসিব : আমি তোমাকে নিজের মায়ের মতোই সব সময় সন্মান করতাম। কখনো সৎ মা ভাবিনাই। আর সেই তুমি কিনা আমাকে এই সব বলতেছো।
--আমি কিভাবে কথা বলবো সেটা তোর কাছে শিখতে হবে।
হাসিব : ওমা প্লিজজ রাগ করিও না। দাওনা ইলিশ মাছের মাথাটি আমি খাই।
--ঠাসসসস! ঠাসসস! তোকে বলছি না এই মাথাটি সুজন খাবে। এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা কু/ত্তা/র বাচ্ছা
"এর পরে হাসিব সেখানে থেকে নিজের রুমে চলে আসে এবং মায়ের একটি ছবি বের করে কান্না করতে। থাকে। আর বলে!
হাসিব : মা ও মা!. কেনো ছেরে গেলে তোমার এই সন্তানটিকে পৃথিবীতে রেখে। আমাকেও তোমার সঙ্গে নিয়ে যাইতে ওই দুর আকাশে। জানো মা যেই বাবা আমাকে না দেখলে খাইতোনা সেই বাবা এখন কোন খবর নেয়না দিনের পর দিন চলে যায়। মা ইলিশ মাছের একটা মাথা খাওয়ার জন্যে এত কান্না করি তবুও আমার সৎ মা একটু খাইতে দেয়না। আমি আর পারতেছি না মা।
"ঠিক এমন সময় হাসিবের বাবা পিছ থেকে এসে বলতে থাকে।
--হাসিব তুই নাকি তোর মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিস।
হাসিব : না বাবা খারান ব্যবহার করিনাই। শুধুমাত্র ইলিশ মাছের মাথাটি আজকে খাইতে চেয়েছি।
--আবার মিথ্যা বলিশ।
হাসিব : সত্যি বলতেছি বাবা আমাকে বিশ্বাস করো।
--চুপ বেয়াদব ছেলে. আর একটি মিথ্যা কথা বললে এই বাড়ি থেকে বের করে দিবো।
হাসিব : বাবা...?
--চুপ আজ তোর ভাত বন্ধ। এই রেহেনা আজকে হাসিবকে ভাত খাইতে দিবেনা। এইটা ওর সাস্তি।
--কথাটি বলেই হাসিবের বাবা হন হন করে চলে যায়। যা দেখে হাসিব কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে।
"আসলেই সৎ মা গুলা এমনি হয়। কখনো পর সন্তানটিকে আপন করে নিতে পারেনা। (আবার কিছু সৎ মা আছে যারা নিজের মায়ের থেকেও বেশি ভালোবাসে।
"মায়ের মৃত্যুর পরে বাবাও পর হয়ে যায়।
অনু_গল্প: #সৎ_মা
0 মন্তব্যসমূহ