ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ: মধ্যপ্রাচ্যে আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
যুদ্ধের নতুন রূপ: ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আবারও ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে এই উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। গাজা উপত্যকায় হামাস এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী একের পর এক রকেট নিক্ষেপ করছে, আর তার জবাবে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী চালাচ্ছে তীব্র বিমান হামলা।
ধ্বংসস্তূপে পরিণত জনপদ
গাজার বহু আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং খাবার, পানি ও বিদ্যুতের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বিদ্যুৎ না থাকায় আহতদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা কেবলমাত্র হামাসের সামরিক স্থাপনাগুলোকেই লক্ষ্য করছে। কিন্তু বাস্তব চিত্রে দেখা যাচ্ছে, অসংখ্য বেসামরিক মানুষ এই যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, সাধারণ মানুষের ওপর যে পরিমাণ সহিংসতা চালানো হচ্ছে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয় পক্ষকেই সংযত হওয়ার আহ্বান জানালেও যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
শিশুর চোখে যুদ্ধ
সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গাজার এক শিশুর কণ্ঠে শুনা গেছে, "প্রতিদিন বোমা পড়ে, রাতে ঘুমাতে পারি না।" এই কথায় যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা যেন আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
উপসংহার
এই যুদ্ধ কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন — উভয় পক্ষের উচিত অবিলম্বে সংলাপে বসা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাওয়া।
0 মন্তব্যসমূহ